Friday, March 25, 2011

বিশ্বভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় মহানবী (সা.)

ইসলামে একে অপরকে স্নেহ-ভালোবাসা, প্রীতি-সম্প্রীতির বাঁধনে আবদ্ধ রাখতে চায়। আবদ্ধ রাখতে চায় বিশ্বভ্রাতৃত্ব বন্ধুত্বের ডোরে সেতুবন্ধে। একমাত্র ইসলামই বিশ্বভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠার অনন্য দৃষ্টান্ত স্থাপন করেছে। ইসলামই সর্বপ্রথম ঘোষণা দিয়েছে—দুনিয়ার সব মানুষ এক আদমের সন্তান। অতএব সৃষ্টিগতভাবে কারও ওপর কারও প্রাধান্য নেই। নিশ্চয়ই আল্লাহপাকের মহান দরবারে সর্বাধিক সম্মানিত সে ব্যক্তিই যে তোমাদের মধ্যে সর্বাধিক পরহেজগার। নিশ্চয়ই আল্লাহপাক মহাজ্ঞানী, সর্ববিষয়ে ওয়াকিবহাল। সূরা আল ইমরানে ইরশাদ হয়েছে—‘তোমরা আল্লাহপাকের রজ্জুকে একে অপরে আঁকড়ে ধরো। আর দলে দলে বিভক্ত হয়ো না।’
বস্তুত সারা বিশ্বের মুসলমান এক ও অভিন্ন। একদেহ-একপ্রাণের মতোই। এক্ষেত্রে আরব আজম নেই। দেশ হিসেবেও নেই কোনো বিভেদ-বিভাজন। সবাই এক, একই কালিমার পরিচয়ধারী বিশ্বাসী। সবাই একই নবীর উম্মত-অনুসারী। মুসলামনদের পরস্পর সৌহার্দ্য ভ্রাতৃত্বের শিকড় প্রোথিত গভীরে পাতালে। যা উপড়ে যাওয়ার নয়। নয় ছিন্নবিচ্ছিন্ন হওয়ার। তাই মুসলমানদের সম্পর্ক ভ্রাতৃত্ববোধ বিশ্লেষণ করতে গিয়ে হুজুর (সা.) ইরশাদ করেন—মুসলমান মুসলমানদের ভাই। কোনো ভাই অন্যের প্রতি জুলুম করো না। একে অন্যকে তিরস্কার করো না। যে তার ভাইয়ের প্রয়োজন পূরণ করবে, আল্লাহপাক তার প্রয়োজন পূরণ করবেন। যে কোনো মুসলমানের দুঃখ-কষ্ট লাঘব করবে, আল্লাহপাক কিয়ামতের দিন তার দুঃখ দূর করবেন। যে কোনো মুসলমানের দোষ গোপন করবে, আল্লাহপাক কিয়ামতের দিন তার দাষ গোপন করবেন। হুজুর (সা.) আরও বলেন, তোমরা মুমিনদের পরস্পরের মধ্যে দয়া-মায়া এবং সহমর্মিতার একটি দেহের মতো পাবে। দেহের একটি অংশে ব্যথা হলে সর্বাংশে তা অনুভূত হয়। বোখারি ও মুসলিম।
উপরের আলোচনা থেকে একথাই প্রতীয়মান হলো যে মুসলমান মুসলমানের ভাই। সত্যিই বিশ্বভ্রাতৃত্ব প্রতিষ্ঠায় হুজুর (সা.) এমন একটি রূপ পরিগ্রহ ও সমাজ স্থাপন করেছিলেন যার নজির ইতিহাসে মেলা ভার। কোনো সভ্য দেশের সভ্যসমাজ আজও তা দেখাতে পারেনি।
সত্য বলতে কী! সে সমাজে সবাই ছিল কমল কোমল, সবাই ছিল ভ্রাতৃত্ব সৌহার্দ্যের ডোরে গাঁথা। কেউ কাউকে কষ্ট দিত না। না আচরণে, উচ্চারণে। না কাজে-কর্মে। সবাই ছিল ভাই ভাই হয়ে। বর্তমানে আমরা কি পারি না সবাই ভাই ভাই হয়ে থাকতে। একটি সুন্দর সুশীল সমাজ গঠন করতে, গড়ে তুলতে। 



ম দা দু ল হ ক ই র ফা ন

No comments:

Post a Comment